রাজনৈতিক জীবনের পুরো সময় আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে জয়নাল হাজারী ছিলেন ‘চিরকুমার’।
কলেজ জীবনে প্রেমিকা বিজুকে হারিয়ে তার বিরহে আর বিয়ে করেননি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। একটি টিভি অনুষ্ঠানে নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমি আর বিজু একইসঙ্গে পড়তাম। আমি যখন কলেজের ছাত্র ছিলাম তখন বিজুও কলেজের ছাত্রী ছিল।
আমি গান লিখতাম এবং বিজু গান গাইতো। সে খুব ভাল গান গাইতে পারত। এভাবেই প্রথমে আমাদের দুজনের পরিচয় হয়। পরে আমাদের ভালোবাসা হয়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য আমি যখন যুদ্ধে চলে যাই তখন তারা সোনাগাজী এলাকায় আত্মগোপন করেন।
পরে একজন রাজাকার তাকে জোর করে বিয়ে করেছিলো বলে জানতে পারি। বিজুর সঙ্গে কথা হয়েছিল আমরা কেউ কাউকে ছাড়া বিয়ে করবো না।
তবে যুদ্ধের সময়ে আমি সংবাদ পেয়েছিলাম তার বিয়ে হয়ে গেছে। চাইলে জোর করে এনে আবারও বিয়ে করতে পারতাম। কিন্তু তা আমি করিনি। বিজু আমাকে যে ওয়াদা করেছিল তা ভেঙেছে। এরপরে কখনো বিয়ে বা কোন নারী নিয়ে চিন্তাই করিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।